এ এইচ অনিক ।।
বরিশালঃ দেশের দক্ষিনের জেলাগুলোর হাট বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। যে কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে ঘটছে, বাক বিতন্ডা, বিক্রেতারা মানছেনা বিধিনিষেধ। দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের জেলা গুলির হাটবাজারে যেমন – বরিশাল,বরগুনা,পটুয়াখালী বাগেরহাট,পিরিজপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও যশোর সহ দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলগুলোর পাইকারদের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন প্রকার তরমুজ পেয়ে থাকি।
এসব জেলাগুলোর কয়েকজন তরমুজ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তাদের তরমুজের ক্ষেত ও বাজার থেকে পাইকারগন পিস হিসেবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে তরমুজ কিনে নিয়ে ঐ একই তরমুজ বিক্রি করছেন দুই থেকে তিন গুন বেশিদামে।
তারা আরো বলেন, আমাদের ক্ষেত থেকে বিভিন্ন দামে পিস হিসাবে তরমুজ কিনলেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আসা তরমুজের ব্যাপারিগন আমাদের থেকে পাইকারি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় কিনে ট্রলারে ও পিকাপে ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন যোগে নিয়ে তা পিস হিসেবে নিয়ে তিন গুন বেশি দামে বিক্রি করেন।
কিছু অসাধু অতি মুনাফা লোভি ব্যবসায়ীদের একটি চক্র এরা ৩৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে এক একটি তরমুজ ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। যে কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে এমন কয়েকজন তরমুজ ক্রেতা এই প্রতিনিধিকে বলেন। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামাতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি হাট বাজারে মনিটরিং করে বা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, পবিত্র রমজানের সময় রোযাদার সহ সকলের কাছে তরমুজের চাহিদা একটু বেশিই থাকে। ইফতারে সময় অন্যান্য খাবারের তুলনায় তরমুজই সবাই বেশি পছন্দ করেন ।